অর্ধশত বছরের ‌‘তরুণ’, প্রযুক্তির রূপায়ণে চিনিয়েছেন বাংলাদেশ Copy Copy

আশরাফুল ইসলাম
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০২০
অর্ধশত বছরের ‌‘তরুণ’, প্রযুক্তির রূপায়ণে চিনিয়েছেন বাংলাদেশ  Copy  Copy

আমার সোনার বাংলা আমি তোমাকে ভালোবাসি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গেই তার পথচলা। জয়ের নিশান হাতে নিয়ে যেন জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যবেলায় জন্ম নিয়ে নাম নিলেন ‘জয়’। তাই ‘জয়’ ‘জয় বাংলা’ যেন মিলেমিশে একাকার। প্রযুক্তির ডানায় ভর করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপে বিশ্বে বিশেষ পরিচিত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন আজ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জয় নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর সেখানেই কাটে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্লোগানটি যুক্ত হয় তার নেপথ্যে ছিলেন এই প্রযুক্তিবিদ।

পরে এক প্রকার অন্তরালে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

পারিবারিক ঐতিহ্য এবং ব্যক্তিগত প্রজ্ঞার কারণে জয় রাজনৈতিক অঙ্গনের তরুণ সমাজ, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মধ্যে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ না নিলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে জয়ের ভূমিকা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কথা বলছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে, যা দেশের গণমাধ্যমগুলোও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে আসছে।

 

২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় তার পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন। সদস্য পদ লাভ করার পর থেকেই তিনি দলের রাজনীতি এবং সরকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। মা শেখ হাসিনার পাশাপাশি তিনি দলের হাল ধরবেন, এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিন থেকেই। বিশেষ করে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জয়ের উপস্থিতি এখন প্রধান অনুপ্রেরণা।

সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজ কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন জয়। ‘আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি সজীব ওয়াজেদ জয়’ এমনটি প্রত্যাশা করছেন নেতাকর্মীরা। দলের মধ্যে তার উপস্থিতি নিয়েও নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে।

 

July 2020
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031