বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি যেমন ভাষার মাস, তেমনি মার্চ স্বাধীনতার মাস। আমরা প্রতিবছর মার্চের ছাব্বিশ তারিখে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করে থাকি। মার্চ মাস এলেই স্বাধীনতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসতে থাকে। এসব বিষয়ের মধ্যে যেমন থাকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ, তেমনি থাকে স্বাধীনতার সীমারেখা প্রভৃতি তাত্ত্বিক বিষয় সম্পর্কে, তেমনি আবার এর ুসঙ্গে আরও থাকে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গতা বা অপূর্ণাঙ্গতা সম্পর্কে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই আসে সে সংগ্রাম শুরুর পটভূমির কথা। কিন্তু তারও আগে অনিবার্যভাবে এসে পড়ে স্বাধীনতা হারানোর কথা। ইতিহাসের কোন্ পটভূমিতে কীভাবে কী কী কারণে আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম তা না জানতে পারলে স্বাধীনতা বা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অধ্যয়ন অর্থবহ ও সার্থক হয়ে উঠতে পারবে না। পলাশী বিপর্যয়ের মাধ্যমেই যে আমরা আমাদের স্বাধীনতা নামক জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হারিয়েছি এ কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কাদের কারণে সেদিন আমাদের জাতীয় জীবনের এ মহাবিপর্যয় নেমে আসে তার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমরা শুধু এটুকুই জানি যে, পলাশীর যুদ্ধে ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদৌলার প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খান এবং অন্য কতিপয় আমত্যের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়বরণের মধ্য দিয়ে এদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তথা ইংরেজদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, আর আমরা জাতি হিসেবে হয়ে পড়ি পরাধীন। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হওয়ায় আমরা ইংরেজদের কাছে সেদিন স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম, এটা আমরা জানি। কিন্তু এর পেছনে মীরজাফরের সহযোগী হিসেবে আর কার কার কী ভূমিকা ছিল, তার কতটা আমরা জানি? এতদিন যাই প্রচার করা হোক এখন তো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ক্রুসেডের ঐতিহ্যবাহী ইংরেজদের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের নামে এদেশে এসে প্রথমেই যোগাযোগ স্থাপন করে মুসলিমবিদ্বেষী মারাঠা এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার দরবারের রাজবল্লভ, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ ও উমিচাঁদ প্রমুখ অমুসলিম অমাত্যদের সঙ্গে।
আমরা একটু আগে যে ‘ক্রুসেড’ শব্দ ব্যবহার করেছি তার একটা ব্যাখ্যা দরকার। ক্রুসেড কি? এক কথায়, ক্রুসেড অর্থ ধর্মযুদ্ধ। তবে ইতিহাসে ১০৯৫ সাল থেকে ১২৭১ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন থেকে মুসলমানদের বহিষ্কৃত করতে খ্রিস্টানরা বারবার যে যুদ্ধ চালায়, তা-ই ক্রুসেড নামে খ্যাত হয়ে আছে। প্রধানত ইউরোপ থেকেই এই যুদ্ধ চালনা করা হয় এবং এতে ইংরেজদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ক্রুসেডাররা তখন তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলেও পরবর্তীকালে ইউরোপীয় তথা পশ্চিমা সা¤্রাজ্যবাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যই হয়ে দাঁড়ায় ছলে-বলে-কৌশলে মুসলিম বিশ্বের স্বাধীনতাকে দুর্বল ও ধ্বংস করে দেয়া। শুধু পলাশীর বিপর্যয়ের মাধ্যমেই সা¤্রাজ্যবাদ তাদের মুসলিমবিরোধী ক্রুসেডীয় ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়নি, সারা বিশ্বব্যাপী তাদের সে লক্ষ্য আজও সক্রিয় রয়েছে।
আমরা পুনরায় পলাশী প্রসঙ্গে ফিরে আসি। ক্রুসেডীয় ঐতিহ্যে বিশ্বাসী ইংরেজরা এদেশে মুসলিম শাসন অবসানের লক্ষ্যে স্বাভাবিক কারণেই মারাঠাদের পাশাপাশি নবাব দরবারের হিন্দু অমাত্যদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করে। তবে এ ব্যাপারে উভয় পক্ষই একমত হয় যে, স্বাধীনতা প্রশ্নে নিরাপেক্ষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হটিয়ে কোনো হিন্দুকে নয়, কোনো ক্ষমতালোভী দুর্বলচেতা মুসলমান অমাত্যকে নতুন নবাব করার লোভ দেখাতে হবে। সে নিরিখে জগৎশেঠদের মনে ছিল দুর্বলচেতা মুসলিম অমাত্য ইয়ার লুৎফে খানের নাম। কিন্তু চতুর ক্লাইভ তাদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হন যে, শুধু সিরাজউদ্দৌলার পরিবর্তে শুধু কোনো মুসলমান অমাত্যকে নতুন নবাব করলেই চলবে না, তাকে নবাবের আত্মীয়ও হতে হবে। সেই নিরিখেই ক্লাইভের প্রস্তাবে সিরাজউদ্দৌলার আত্মীয় মীর জাফরের নাম ঠিক হয়।
মীরজাফর তো এ প্রস্তাব শুনে খুশিতে বাগবাগ। তার জীবনের একটা সুপ্ত স্বপ্ন এভাবে সফল হতে পারে তা তিনি আগে কল্পনাও করতে পারেননি। তিনি তাদের পরিকল্পনামাফিক যা করার সবকিছু করতেই ওয়াদা করলেন। পরিকল্পনামাফিক সব এগিয়ে গেল। পলাশীতে সিরাজউদৌলার পরাজয়, পরবর্তীকালে তাকে হত্যা, সবকিছুর পর মীরজাফর হলেন বাংলার নতুন নবাব। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে টের পেলেন তাকে শিখ-ি নবাব করা হয়েছে। প্রকৃত ক্ষমতা চলে গেছে ক্লাইভ ও জগৎশেঠদের হাতে। তিনি নবাবী ফলাতে গিয়ে নবাবী হারালেন। অবশ্য পরে তিনি বুঝতে পারলেন নামকাওয়াস্তে নবাব হওয়া ছাড়া অন্য কোনো সম্মানজনক পথ আর তার সামনে খোলা নেই। নব্য শাসক ইংরেজরা সুপরিকল্পিত পথে দেশে তাদের শাসনকার্যও শুরু করে দিল। নব্য শাসকদের অন্যতম মূলনীতি হয়ে দাঁড়ালো প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমিদারি, আয়মাদারি শিক্ষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি সব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে বেছে বেছে মুসলমানদের উৎখাত করে সেখানে ইংরেজঅনুগত হিন্দুদের বসানো। পলাশীর বিপর্যয়ের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ১২৯৩ সালে পূর্বতন ভূমি-নীতির পরিবর্তে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামে নতুন ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশে ইংরেজঅনুগত এক নব্য জমিদার গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হলো, যার সিংহভাগই ছিল হিন্দু। এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে যে মুসলমানদের একদা কেউ দরিদ্র হওয়ার কথা কল্পনা করতে পারত না, তাদের পক্ষে স্বচ্ছল থাকাই অসম্ভব করে তোলা হলো। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই দেশের মুসলিম জনগণকে পরিকল্পিতভাবে এক অসহায় নিঃস্ব জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হলো।
অন্যদিকে মুসলিম জনগণ একদিনের জন্যও নব্য শাসকদের শাসন বরদাস্ত করে উঠতে পারছিল না। একের পর এক সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে তাদের ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগল। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত মজনু শাহের নেতৃত্বাধীন ফকীর বিদ্রোহ, হাজী শরীয়তুল্লাহ ও দুদু মিয়ার ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, রংপুরের নুরুল দীন, সন্দ্বীপের আবু তোরাব, ত্রিপুরার শমসের গাজী প্রমুখ কৃষক নেতার বিদ্রোহ, নীলকরদের বিরুদ্ধে নীল চাষীদের বিদ্রোহ প্রভৃতির মাধ্যমে সর্বস্তরের মুসলিম জনগণ নব্য শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে এগিয়ে গেলেও যে সব বিদ্রোহী প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের সহযোগিতা না থাকায় ইংরেজরা এসব বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হলো। সর্বশেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ও পর্যুদস্ত হওয়ায় বঙ্গিমচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র প্রমুখ তৎকালীন হিন্দু বুদ্ধিজীবীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। এই দুঃখজনক বাস্তবতায় সেকালের নবাব আবদুল লতিফ, সৈয়দ আহমদ খান, সৈয়দ আমীর আলী প্রমুখ মুসলিম নেতৃবৃন্দ বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় ইংরেজ সরকারের প্রতি সহযোগিতার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া পর্যুদস্ত মুসলমানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে নেয়ার নীতি গ্রহণের পথে অগ্রসর হলেন।এই সহযোগিতার শেষ নেতা ছিলেন নবাব সলিমুল্লাহ। ১৯০৫ সালে প্রধানত প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় পূবর্তন বঙ্গ-বিহার-উড়িষা সমন্বয়ে গঠিত বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্টিকে বিভক্ত করে ঢাকায় রাজধানীসহ ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হলে এতে দীর্ঘ অবহেলিত পূর্ববঙ্গের উন্নতির কিছুটা সুযোগ হবে এই বিবেচনায় নবাব সলিমুল্লাহ এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। কিন্তু এই বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গে অবস্থিত জমিদারীতে কলকাতা প্রবাসী জমিদারদের প্রভাব শিথিল হয়ে পড়বে এই আশঙ্কায় প্রবাসী হিন্দু জমিদারদের প্ররোচনায় বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হলো। আন্দোলনের স্বপক্ষে যুক্তি দেখানো হলো, এর মাধ্যমে নাকি বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপ করা হবে।
যে হিন্দু নাগরিকরা এদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সব সময় ইংরেজদের প্রতি একটানা সমর্থন দিয়ে আসছে তাদের আকস্মিক এ বৈরী আচরণে ইংরেজ সরকার খুবই বিব্রত হয়ে পড়ে। এদের মাত্র ছয় বছরের মাথায় বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেয়। এতে নবাব সলিমুল্লাহ ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। তাঁর এ ক্ষোভ প্রশমনের লক্ষ্যে ইংরেজ সরকার তাঁর অন্যতম দাবি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করল। এতে ও কলকাতা প্রবাসী বুদ্ধিজীবীরা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং কলকাতায় এর প্রতিবাদে সভায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ প্রতিবাদ সভায় অবিলম্বে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়।
অতীতে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, এতে নাকি বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদ হবে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়, পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত মুসলমান চাষাভূষা। তাই তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ তারা অশিক্ষিত চাষাভূষা আছে, অশিক্ষিত চাষাভূষাই থাক, তাদের শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার কোনো দরকার নেই।
তবে ইংরেজ সরকার তাদের এই অন্যায় যুক্তিকেও প্রশ্রয় দেয়। সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আওতা ঢাকা শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে পূর্ববঙ্গের অবশিষ্ট অঞ্চলের সব স্কুল-কলেজের কর্তৃত্ব আগের মত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ন্যস্ত রেখে। পূর্ববঙ্গের সকল স্কুল-কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অন্যায় কর্তৃত্বের হাত থেকে মুক্তি পায় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মত পাপের কথা বলতে গেলে বলতে হয় ১৯০৫ সালে বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যারা উচ্চকণ্ঠ ছিলেন তাদের উত্তরসূরিরাই ১৯৪৭ সালে বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পাপ করার দাবিতে জিকির তুলেছিলেন যে, ভারত ভাগ না হলেও বঙ্গভঙ্গ হতেই হবে, নইলে নাকি বাঙালি হিন্দুরা চিরদিনের জন্য বাঙালি মুসলমানের গোলাম হয়ে যাবে ! আমরা আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই তা হলে দেখি এ সংগ্রামের দুটি স্তর ছিল। প্রথম স্তরে ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত। দ্বিতীয় স্তর ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত। অবশ্য প্রথম স্তরের যে আন্দোলনটি পাকিস্তান আন্দোলন নামে পরিচিত তারও ভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। ওই লাহোর প্রস্তাবেই বলা হয়েছিল, উপমহাদেশের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাসমূহে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই নিরিখে বলা যায়, ১৯৪৭ সালে যদি লাহোর প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন হতো, তা হলে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কোনো সংগ্রামের প্রয়োজনই হতো না।
|